সাধু বেনেডিক্ট মঠের ওয়েব-সাইট - মহেশ্বরপাশা - খুলনা - বাংলাদেশ
খ্রিষ্টমণ্ডলীর পুণ্য পিতৃগণের কোন্ পুস্তক এমন বাণী না প্রতিধ্বনিত করে
আমরা যেন সত্যকার পথ ধরে আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে পোঁছি?

(সাধু বেনেডিক্টের নিয়ম)

খ্রিষ্টমণ্ডলীর পিতৃগণ সম্পর্কে কিছুটা তথ্য ধর্মীয় বিষয়াদি-তে পাওয়া যেতে পারে।
সম্মানিত পাঠক/পাঠিকা, প্রতিটি পুস্তকের শেষ সংস্করণ পাবার লক্ষ্যে প্রতিটি পুস্তকের প্রথম পৃষ্ঠায় দেওয়া নির্দেশিকা পালন করুন। ধন্যবাদ।

বইগুলি কালানুক্রমিক ক্রমে তালিকাভুক্ত, যাতে পাঠক/পাঠিকাগণ বিভিন্ন ধর্মতাত্ত্বিক বিষয়গুলির ক্রমবিকাশ অনুসরণ করতে পারেন।

প্রৈরিতিক পিতৃগণ
ভূমিকা ও টীকা সহ মূল ভাষাগুলো থেকে বাংলায় অনূদিত প্রৈরিতিক পিতৃগণের লেখা।
দিদাখে, ক্লেমেণ্ট়, ইগ্নাসিউস, পলিকার্প, বার্নাবাস, পালক ও দিওগ্নেতোস ছাড়া এই পুস্তকে সেকালীন ‘পাপিয়াস’ ও ‘কুয়াদ্রাতুস’ এর প্রাচীন লেখার অংশবিশেষ, ও মুরাতরি পাণ্ডুলিপি-খণ্ডও যোগ দেওয়া আছে।

প্রৈরিতিক পিতৃগণ হলেন সেই ঐশতত্ত্ববিদ যারা তাদের জীবনকালে যিশুর প্রেরিতদূতদের সঙ্গে ব্যক্তিময় সম্পর্কের অধিকারী হয়েছিলেন। তাদের ধর্মশিক্ষার গুরুত্ব ও নির্ভরযোগ্যতা এতেই রয়েছে যে, তাদের শিক্ষা প্রেরিতদূতদের নিজেদের শিক্ষার সঙ্গে ধারাবাহিকভাবেই সংযুক্ত। এ লেখাগুলোর মধ্য দিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শতাব্দীর (অর্থাৎ, মোটামুটি ৮০ ও ১৫০ সালের মধ্যকার সময়ের) খ্রিষ্টমণ্ডলীর পরিস্থিতি ও সমস্যাদির প্রাঞ্জল ছবি ভেসে ওঠে।
Get it on Apple Books


সাধু যুস্তিনুস - খ্রিষ্টিয়ানদের পক্ষসমর্থনে আবেদন-পত্রদ্বয়
ভূমিকা ও টীকা সহ গ্রীক থেকে বাংলায় অনূদিত সাধু যুস্তিনুসের ‘খ্রিষ্টিয়ানদের পক্ষসমর্থনে ১ম ও ২য় আবেদন-পত্র’।

সাধু যুস্তিনুস (জন্ম ১০০ খ্রিষ্টাব্দে) খ্রিষ্টধর্মের পক্ষসমর্থন ক্ষেত্রে ২য় শতাব্দীর প্রধান পক্ষসমর্থক লেখক বলে পরিগণিত।
সেকালে রোম-সাম্রাজ্যে খ্রিষ্টিয়ানেরা নিরপরাধী হলেও খ্রিষ্টিয়ান বলে নির্বিচারে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হত। তাই তিনি আনুমানিক ১৫০ সালে রোম-প্রশাসনের সমীপে খ্রিষ্টিয়ানদের পক্ষসমর্থনে দু’টো আবেদন-পত্র পেশ করেন। তাসত্ত্বেও আনুমানিক ১৬৫ সালে তিনিও খ্রিষ্টিয়ান বলে সাক্ষ্যমরণ বরণ করেন।
তাঁর গবেষণার প্রধান বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছেন ঈশ্বরের সেই বাণী যিনি মানুষ হবার আগেও সকলের অন্তরে বীজ হিসাবে বিদ্যমান হয়ে ঐশযুক্তি শেখাতেন। এমনকি সেই ঐশবাণীর চাপ সারা বিশ্বকে খ্রিষ্টের জয়চিহ্নে তথা ক্রুশ আকারে চিহ্নিত করে। তাঁর সমস্ত ধারণা পরবর্তীকালের খ্রিষ্টিয়ান লেখকগণকে প্রভাবান্বিত করল।
Get it on Apple Books


মুরাতরি পাণ্ডুলিপি-খণ্ড
ভূমিকা ও টীকা সহ লাতিন মূল ভাষায় ও তার বাংলা অনুবাদে মুরাতরি পাণ্ডুলিপি-খণ্ড।

মুরাতরি পাণ্ডুলিপি-খণ্ড বলে পরিচিত লেখাটি হল নূতন নিয়মের পুস্তকগুলোর সবচেয়ে প্রাচীন তালিকা।
পাণ্ডুলিপিটা মোটামুটি ১৭০ সালের লেখা, কিন্তু কেবল ১৭৪০ সালে তা লুদোভিকো আন্তনিও মুরাতরি দ্বারা আবিষ্কার ও প্রকাশ করা হয়।
Get it on Apple Books


সাধু ইরেনেউস - প্রৈরিতিক প্রচার প্রদর্শন
ভূমিকা ও টীকা সহ বাংলায় অনূদিত সাধু ইরেনেউস-লিখিত ‘প্রৈরিতিক প্রচার প্রদর্শন’।

সাধু ইরেনেউসের এই ক্ষুদ্র লেখা সাধারণত ও সঠিকভাবে ‘প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রাচীন ধর্মশিক্ষা’ বলে অভিহিত।
প্রকৃতপক্ষে, পুস্তিকার নানা বিষয়বস্তু পুরাতন ও নূতন নিয়মের মধ্যকার ধারাবাহিকতা সপ্রমাণ করতে, এবং ঈশ্বরের বাণী যে উভয় নিয়মের বেন্দ্রবিন্দু তা উজ্জ্বলভাবে প্রদর্শন করতে অভিপ্রেত।
পুস্তকটি সম্ভবত ১৯০ সালে লেখা হয়েছিল।
Get it on Apple Books


তের্তুল্লিয়ানুস - ভ্রান্তমতপন্থীদের খারিজ-নির্দেশ, বাপ্তিস্ম প্রসঙ্গ, অনুতাপ প্রসঙ্গ ও প্রার্থনা প্রসঙ্গ
ভূমিকা ও টীকা সহ লাতিন থেকে বাংলায় অনূদিত তের্তুল্লিয়ানুস-লিখিত চার্টে পুস্তিকা।

তের্তুল্লিয়ানুসের উপরোল্লিখিত চারটে পুস্তিকা মোটামুটি ১৯৮-২০১ সালের মধ্যে লেখা হয়েছিল। তিনি খ্রিষ্টধর্মের প্রথম পক্ষসমর্থক লেখকদের মধ্যে এমন সুনাম অর্জন করেন যা আজও অনস্বীকার্য।
কেননা সেসময় পৌত্তলিক রোম সাম্রাজ্যে খ্রিষ্টবিশ্বাস-বিরোধী যথেষ্ট ধারণা ও লেখা বিরাজ করছিল; তাছাড়া খোদ খ্রিষ্টমণ্ডলীর মধ্যেও যথেষ্ট ভ্রান্তমত প্রচলিত ছিল।
তেমন এলোমেলো পরিস্থিতিতে তিনি এধারণাই বিশেষভাবে উপস্থাপন করেন যে, কেবল কাথলিক মণ্ডলীর বিশ্বাস ও ধর্মতত্ত্বই বিশ্বাস্য ও নির্ভরযোগ্য, কেননা মণ্ডলী সেই বিশ্বাস ও সেই তত্ত্ব সরাসরি খ্রিষ্টের সেই প্রেরিতদূতদের কাছ থেকেই পেয়েছে যাঁরা স্বয়ং খ্রিষ্ট প্রভুর কাছ থেকেই তা পেয়েছিলেন।
Get it on Apple Books


রোমের সাধু হিপ্পলিতুস - প্রৈরিতিক পরম্পরা
ভূমিকা ও টীকা সহ লাতিন ও গ্রীক থেকে বাংলায় অনূদিত সাধু হিপ্পলিতুস-লিখিত 'প্রৈরিতিক পরম্পরা'।

এই পুস্তিকাটি, যা প্রথমে দ্বিতীয় শতাব্দীতে রচিত হয়েছিল, ২৩৫ সালের আগে সাধু হিপ্পলিতুস দ্বারা সংশোধিত হয়।
পুস্তিকাটি মণ্ডলী ও উপাসনা সংক্রান্ত নানা বিষয় তুলে ধরে এবং রোম-মণ্ডলী ও সেইসঙ্গে গোটা রোম সাম্রাজ্যের অন্যান্য মণ্ডলীগুলিকেও উদ্দেশ করে।
প্রধান বিষয়গুলি: বিশপ, প্রবীণ (অর্থাৎ প্রবীণ) ও পরিসেবকদের মনোনয়ন ও পদ-শ্রেণিভুক্তিকরণ; মিসার এউখারিস্তীয় প্রার্থনা (যা আজকালের মিসার দ্বিতীয় এউখারিস্তীয় প্রার্থনার সাথে খুব মিল রাখে); কমুনিয়ন; দীক্ষাপ্রার্থীদের প্রস্তুতি; বাপ্তিস্ম; উপবাস; দৈনিক প্রার্থনা; সমাধিদান; ক্রুশের চিহ্ন, ইত্যাদি বিষয়।
Get it on Apple Books


অরিগেনেস - “প্রার্থনা প্রসঙ্গ” ও “সাক্ষ্যমরণের উদ্দেশে উৎসাহ বাণী”
ভূমিকা ও টীকা সহ গ্রীক থেকে বাংলায় অনূদিত অরিগেনেসের দু’টো পুস্তিকা।

অরিগেনেসের জনপ্রিয় রচনা দু’টো হল “প্রার্থনা প্রসঙ্গ” ও “সাক্ষ্যমরণের উদ্দেশে উৎসাহ বাণী” যা ২৩৩ ও ২৩৫ সালের মধ্যে লেখা হয়।
“প্রার্থনা প্রসঙ্গ”: অরিগেনেস প্রথমত খ্রিষ্টীয় জীবনে ঈশ্বরের সঙ্গে সংলাপ ও ঈশ্বরের কাছে আত্মাকে উত্তোলন করার লক্ষ্যে প্রার্থনার উৎকৃষ্টতা ও উপকারিতা স্পষ্ট করে তোলেন। তারপর প্রভুর শেখানো প্রার্থনাকে এমন ভাবে ব্যাখ্যা করেন যে, আজকালের মানুষও তাঁর প্রেরণাপূর্ণ আধ্যাত্মিকতার সামনে বিস্মিত না হয়ে পারে না।
সাক্ষ্যমরণের উদ্দেশে উৎসাহ বাণী: ২৩৫ সালে রোম-সাম্রাজ্য খ্রিষ্টিয়ানদের বিরুদ্ধে তীব্র নির্যাতন শুরু করলে অরিগেনেস এই পুস্তিকা রচনা করেন, যাতে নির্যাতনকালে গ্রেপ্তার হলে খ্রিষ্টিয়ানেরা দৃঢ়তার সঙ্গে খ্রিষ্টবিশ্বাস বিষয়ে সাক্ষ্য দেবার জন্য প্রাণ দিতেও প্রস্তুত থাকে। কেননা খ্রিষ্টিয়ানদের পক্ষে সাক্ষ্যমরণের চেয়ে আরও গৌরবময় মৃত্যু নেই।
Get it on Apple Books


সাধু কিপ্রিয়ানুস - প্রভুর প্রার্থনা
ভূমিকা ও টীকা সহ লাতিন থেকে বাংলায় অনূদিত সাধু কিপ্রিয়ানুস-লিখিত ‘প্রভুর প্রার্থনা’।

সাধু কিপ্রিয়ানুস-লিখিত এই পুস্তক ২৫১ সালে লেখা হয়েছিল; সেসময় থেকে আজ পযর্ন্ত পুস্তকটি সকলের জনপ্রিয়তা লাভ করে আসছে।
প্রভুর প্রার্থনা ব্যাখ্যা করা ছাড়া উত্তর আফ্রিকার কার্থাগোর বিশপ সাধু কিপ্রিয়ানুস তাঁর নিজস্ব কয়েকটি ধারণার উপর জোর দেন যে ধারণাগুলো বিশপ হিসেবে তাঁর মতে মণ্ডলী-গঠনে প্রাধান্য পাবার কথা, যথা খ্রিষ্টমণ্ডলীর একতা ও ভক্তবৃন্দের মধ্যে সুসম্পর্ক।
Get it on Apple Books


সাধু আথানাসিউস - গ্রীকদের বিপক্ষে, বাণীর মনুষ্যত্বধারণ, মার্কেল্লিনোসের কাছে পত্র, পুণ্য পিতা আন্তনির জীবনী
ভূমিকা ও টীকা সহ গ্রীক থেকে বাংলায় অনূদিত সাধু আথানাসিউস-লিখিত ‘গ্রীকদের বিপক্ষে’, ‘বাণীর মনুষ্যত্বধারণ’, ‘মার্কেল্লিনোসের কাছে পত্র’ ও ‘সাধু আন্তনির জীবনী’।

‘গ্রীকদের বিপক্ষে’ ও ‘বাণীর মনুষ্যত্বধারণ’ পুস্তকদ্বয় পৌত্তলিক শ্রোতাদের উদ্দেশ করে লেখা হয়েছিল এবং এখনও ধর্মতত্ত্বের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লেখা হিসাবে বিবেচিত; অন্য দিকে, ‘সাধু আন্তনির জীবনী’ হলো সাধু আথানাসিউসের এমন জনপ্রিয় লেখা যা সমস্ত খ্রিষ্টিয়ানগণ আজও অনুপ্রেরণার জন্য পাঠ করে থাকে।
উপস্থাপিত লেখা চতুষ্টয় আনুমানিক ৩৩৫ থেকে ৩৬০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে রচিত হয়।
Get it on Apple Books


সাধু হিলারিউস - ত্রিত্ব প্রসঙ্গ
ভূমিকা ও টীকা সহ লাতিন থেকে বাংলায় অনূদিত সাধু হিলারিউস-লিখিত ‘ত্রিত্ব প্রসঙ্গ’।

৪র্থ শতাব্দীতে খ্রিষ্টমণ্ডলী নানা ভ্রান্তমত দ্বারা, বিশেষভাবে আরিউসেরই প্রবর্তিত ভ্রান্তমত দ্বারা আক্রান্ত, যা অনুসারে প্রভু যিশু খ্রিষ্ট প্রকৃত ঈশ্বর নন, বরং তিনি একটা সৃষ্টজীব মাত্র। তেমন পরিস্থিতিতে সাধু হিলারিউস এলেখায় পবিত্র শাস্ত্র ভিত্তি করে দেখান, খ্রিষ্ট সত্যকার ঈশ্বর।
‘ত্রিত্ব প্রসঙ্গ’ নামক এ ১২টা পুস্তক ৩৬০-৩৬৪ সালের মধ্যে লেখা হয়েছিল।
Get it on Apple Books


মহাপ্রাণ সাধু বাসিল - পবিত্র আত্মা প্রসঙ্গ
ভূমিকা ও টীকা সহ গ্রীক থেকে বাংলায় অনূদিত সাধু বাসিল-লিখিত ‘পবিত্র আত্মা প্রসঙ্গ’।

নিসার বিশপ সাধু গ্রেগরি ও নাজিয়াঞ্জুসের বিশপ সাধু গ্রেগরির সঙ্গে মহাপ্রাণ সাধু বাসিল হলেন সেই ‘কাপ্পাদোকীয় পিতৃত্রয়ের’ একজন যাঁরা ৪র্থ শতাব্দীর প্রধান ঐশতত্ত্ববিদদের মধ্যে অন্যতম বলে পরিগণিত।
সেই ৪র্থ শতাব্দীতে খ্রিষ্টমণ্ডলী নানা ভ্রান্তমত দ্বারা, বিশেষভাবে আরিউসেরই প্রবর্তিত ভ্রান্তমত দ্বারা আক্রান্ত, যা প্রভু যিশু খ্রিষ্টের ঈশ্বরত্ব ও পবিত্র আত্মারও ঈশ্বরত্ব অস্বীকার করত। তেমন পরিস্থিতিতে সাধু বাসিল এলেখায় পবিত্র শাস্ত্র ভিত্তি করে দেখান, খ্রিষ্ট এবং পবিত্র আত্মা উভয়ই ঈশ্বর।
‘পবিত্র আত্মা প্রসঙ্গ’ পুস্তকটা মোটামুটি ৩৭৫ সালে লেখা হয়েছিল।
Get it on Apple Books


নাজিয়াঞ্জুসের সাধু গ্রেগরি - বাছাইকৃত লেখা
ভূমিকা ও টীকা সহ গ্রীক থেকে বাংলায় অনূদিত সাধু গ্রেগরি-লিখিত নানা উপদেশ ও ঐশতাত্ত্বিক পদ্য রচনা।

মহাপ্রাণ সাধু বাসিল ও নিসার বিশপ সাধু গ্রেগরির সঙ্গে নাজিয়াঞ্জুসের বিশপ সাধু গ্রেগরি হলেন সেই ‘কাপ্পাদোকীয় পিতৃত্রয়ের’ একজন যাঁরা ৪র্থ শতাব্দীর প্রধান ঐশতত্ত্ববিদদের মধ্যে অন্যতম বলে পরিগণিত।
সেই ৪র্থ শতাব্দীতে নানা ভ্রান্তমত খ্রিষ্টমণ্ডলীর পরম্পরাগত শিক্ষা দূষিত করছিল; সেই ভ্রান্তমতপন্থীদের মতে খ্রিষ্ট ও পবিত্র আত্মা পূর্ণ ঈশ্বরত্বের অধিকারী ছিলেন না। তেমন পরিস্থিতিতে সাধু গ্রেগরি নানা লেখা দ্বারা সেই ভ্রান্তমতসমূহ খণ্ডন করেন।
সেসময় লাওদিকেয়ার বিশপ আপোল্লিনারিউস এমনটা প্রচার করেন, খ্রিষ্ট একটামাত্র স্বরূপের অধিকারী; তেমন ভ্রান্তমত খণ্ডন করায় বিশপ গ্রেগরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
এপুস্তক তাঁর ক’টা উপদেশ, একটা ঐশতাত্ত্বিক পদ্য রচনা, ও আপোল্লিনারিউসের বিপক্ষে তাঁর প্রথম পত্র উপস্থাপন করে যা ৩৭০ ও ৩৯০ সালের মধ্যে লেখা হয়েছিল।
Get it on Apple Books


নিসার সাধু গ্রেগরি - সদ্‌গুণ প্রসঙ্গ অর্থাৎ মোশির জীবনী
ভূমিকা ও টীকা সহ গ্রীক থেকে বাংলায় অনূদিত সাধু গ্রেগরি-লিখিত 'সদ্‌গুণ প্রসঙ্গ অর্থাৎ মোশির জীবনী'।

মহাপ্রাণ সাধু বাসিল ও নাজিয়াঞ্জুসের বিশপ সাধু গ্রেগরির সঙ্গে নিসার বিশপ সাধু গ্রেগরি হলেন সেই ‘কাপ্পাদোকীয় পিতৃত্রয়ের’ একজন যাঁরা ৪র্থ শতাব্দীর প্রধান ঐশতত্ত্ববিদদের মধ্যে অন্যতম বলে পরিগণিত।
তাঁর ‘মোশির জীবনী’ নামক লেখায় তিনি মোশিকে সিদ্ধ জীবনের আদর্শ বলে উপস্থাপন করে দেখান, সিদ্ধ জীবন এমন অবিরত সাধনা যাতে মানুষ ঈশ্বর দ্বারা ঈশ্বরের বন্ধু বলে স্বীকৃতি লাভ করে।
‘মোশির জীবনী’ মোটামুটি ৩৯২ সালে লেখা হয়েছিল।
Get it on Apple Books


সাধু আম্ব্রোজ - রহস্যগুলি প্রসঙ্গ
ভূমিকা ও টীকা সহ লাতিন থেকে বাংলায় অনূদিত সাধু আম্ব্রোজ-লিখিত ‘রহস্যগুলি প্রসঙ্গ’।

এটি সকলের স্বীকৃত কথা যে, খ্রিষ্টীয় দীক্ষার বিষয়ে সাধু আম্ব্রোজের এই লেখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এই পুস্তকে মিলানের প্রখ্যাত বিশপ আম্ব্রোজ নবদীক্ষিতদের কাছে বাপ্তিস্ম, দৃঢ়ীকরণ ও এউখারিস্তিয়ার গভীর তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন।
পুস্তকটি সম্ভবত ৩৮৭ সালে লেখা হয়েছিল।
Get it on Apple Books


রুফিনুস - প্রেরিতদের বিশ্বাস-সূত্রের ব্যাখ্যা
ভূমিকা ও টীকা সহ লাতিন থেকে বাংলায় অনূদিত রুফিনুস-লিখিত ‘প্রেরিতদের বিশ্বাস-সূত্রের ব্যাখ্যা’।

প্রেরিতদের বিশ্বাস-সূত্রের ব্যাখ্যা হল রুফিনুসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ব্যাখ্যাটা সেই দীক্ষাপ্রার্থীদের লক্ষ করে যারা সাক্রামেন্ত গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
বিশ্বাস-সূত্রের বিষয়বস্তুর বিশদ নির্দেশিকা হওয়ার পাশাপাশি, পুস্তকটি একটি আভাসও দেয় যে কীভাবে বিশ্বাস-সূত্র, শতাব্দী ধরে, ভ্রান্তমতসমূহের হুমকি মোকাবিলা করার জন্য নিজের প্রাচীন রূপ বিকশিত করেছিল। এজন্য পুস্তকের “ভূমিকা”-তে বিশ্বাস-সূত্রের নানা প্রাচীন পাঠ গ্রীক ও লাতিন মূলভাষায় উপস্থাপিত।
পুস্তকটি সম্ভবত ৪০৪ সালে লেখা হয়েছিল।
Get it on Apple Books


যেরুশালেমের সাধু সিরিল - ধর্মশিক্ষা
ভূমিকা ও টীকা সহ গ্রীক থেকে বাংলায় অনূদিত যেরুশালেমের সাধু সিরিলের ‘ধর্মশিক্ষা’।

যেরুশালেমের সাধু সিরিলের সর্বাধিক বিখ্যাত রচনা হল ২৪টি উপদেশ যা ৩৪৮ বা ৩৫৯ সালে যেরুশালেমের পবিত্র সমাধি মহাগির্জায় পরিবেশিত হয়। উপদেশগুলো সমষ্টিগতভাবে “ধর্মশিক্ষা” বা “যেরুশালেমের ধর্মশিক্ষা” বলে পরিচিত।
প্রথম ১৮টি উপদেশ কেবল দীক্ষাপ্রার্থীদেরই উদ্দেশ করে এবং পাস্কাপর্বের প্রস্তুতির জন্য পরিবেশিত হয়; বাকি ৫টা পাস্কাপর্বের পর সপ্তাহে পরিবেশিত হয়ে সদ্যদীক্ষিতদের লক্ষ করে এবং খ্রিষ্টীয় দীক্ষার সাক্রামেন্তত্রয় তথা বাপ্তিস্ম, দৃঢ়ীকরণ ও খ্রিষ্টের দেহরক্ত ব্যাখ্যা করে বলে ‘রহস্যগুলি বিষয়ক পঞ্চ ধর্মশিক্ষা’ নামে অভিহিত।
Get it on Apple Books


সাধু আগস্তিন - পালকগণ বিষয়ক উপদেশ
ভূমিকা ও টীকা সহ লাতিন থেকে বাংলায় অনূদিত সাধু আগস্তিন-লিখিত ‘পালকগণ বিষয়ক উপদেশ’।

পবিত্র বাইবেলের একটা বাণী (এজেকিয়েল ৩৪:১-১৬) ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সাধু আগস্তিন সুন্দর একটা উপদেশ উপস্থাপন করেন। উপদেশটা ৪১৪ সালের পরের লেখা।
তিনি দেখান, প্রাচীনকালের মত আজও ভাল ও মন্দ পালক আছে; তারাই মন্দ পালক যারা মেষগুলিকে নয়, নিজেদেরই পালন করে অর্থাৎ যারা খ্রিষ্টের স্বার্থ নয় নিজেদের স্বার্থ অন্বেষণ করে।
উপদেশে তিনি সেকালের ভ্রান্তমতপন্থীদের কথাও তুলে ধরেন যারা সেসময় খ্রিষ্টমণ্ডলীতে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ঐক্যের আদর্শ নষ্ট করেছিল।
Get it on Apple Books


আলেক্সান্দ্রিয়ার সাধু সিরিল - বাছাইকৃত পত্র
ভূমিকা ও টীকা সহ গ্রীক থেকে বাংলায় অনূদিত সাধু সিরিলের নানা পত্র ও উপদেশ।

পুস্তকে নানা পত্র রয়েছে যা সাধু সিরিল ৪২৯ থেকে ৪৩৮ সালের মধ্যে, অর্থাৎ ৫ম শতাব্দীর খ্রিষ্টতাত্ত্বিক বিবাদের সময়ে, বিশপ নেস্তরিউসের বিরুদ্ধে ও অন্য কয়েকজন বিশপের কাছে লিখেছিলেন৷
পরিশিষ্টে তাঁর লেখা 'আত্মা ও সত্যের শরণে উপাসনা ও আরাধনা' এবং তাঁর 'পর্বীয় পত্রাবলি' থেকে নেওয়া অংশবিশেষ উপস্থাপিত রয়েছে।
Get it on Apple Books


মহাপ্রাণ সাধু লিও - সুখ-বাণী বিষয়ক উপদেশ, ফ্লাবিয়ানুসের কাছে ধর্মতাত্ত্বিক পত্র
ভূমিকা ও টীকা সহ লাতিন থেকে বাংলায় অনূদিত মহাপ্রাণ সাধু লিও-লিখিত ‘সুখ-বাণী বিষয়ক উপদেশ’ ও 'ফ্লাবিয়ানুসের কাছে ধর্মতাত্ত্বিক পত্র‘।

মথি-রচিত সুসমাচারের এ গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ (মথি ৫:১-৫) সম্পর্কে সাধু লিও-র এই উপদেশ সুখ-বাণী বিষয়ক অন্যান্য লেখকদের উপদেশের মধ্যে প্রাধান্যের অধিকারী। উপদেশে প্রভু যিশু এমন নব মোশিরূপে উপস্থাপিত যিনি পর্বতচূড়ায় নবসন্ধির নববিধান জারি করেন। উপদেশটা সম্ভবত ৪৪৯ সালে লেখা হয়েছিল।
পুস্তকে ৫ম শতাব্দীর খ্রিষ্টতাত্ত্বিক বিবাদের সময়ে পোপ লিওর লেখা সেই গুরুত্বপূর্ণ ‘ফ্লাবিয়ানুসের কাছে ধর্মতাত্ত্বিক পত্র’ও অন্তর্ভুক্ত।
Get it on Apple Books


সর্বপবিত্রা ঈশ্বরজননীর স্বর্গোন্নয়ন
ভূমিকা ও টীকা সহ বাংলায় অনূদিত “রোমীয় উত্তরণ” ও “আউগীয় উত্তরণ”।

মণ্ডলীর ইতিহাসের প্রথম শতাব্দীগুলো থেকে খ্রিষ্টভক্তদের মধ্যে এ ধর্মীয় চেতনা দৃঢ়তর হয়ে ওঠে যে, মর্তজীবন শেষে পবিত্রা মারীয়া দেহে ও আত্মায় স্বর্গীয় গৌরবে উন্নীতা হন।
ইতিহাসের কথা ধরে বলা যেতে পারে, এবিষয় সংক্রান্ত লেখাগুলো তৃতীয় শতাব্দীতে নানা অঞ্চলে প্রচলিত হতে লাগল। লেখাগুলো “মারীয়ার উত্তরণ” অর্থাৎ মারীয়ার পরলোকগমন বলে অভিহিত ছিল। ধন্যা মারীয়া যে দেহে ও আত্মায় স্বর্গীয় গৌরবে উন্নীতা হলেন, এই মূল বিষয়বস্তুর পাশাপাশি এক একটা লেখা নানা নানা কাল্পনিক উপ-বিষয় সন্নিবিষ্ট করে যা নূতন নিয়মের কতগুলো চরিত্রের কথা ও ঘটনা ধ্বনিত করে।
কিন্তু এসমস্ত চরিত্র ও প্রতীক-চিহ্নের মধ্যে লেখাগুলোর প্রকৃত বক্তব্য সবসময় স্পষ্টই প্রকাশ পায় তথা, ‘ধন্যা কুমারী মারীয়া আত্মায় ও দেহে স্বর্গীয় গৌরবে উন্নীতা হলেন।’
যে মূল সিরীয় পুঁথি যা থেকে পরবর্তীকালে “রোমীয় উত্তরণ” গ্রীক ভাষায় ও “আউগীয় উত্তরণ” লাতিন ভাষায় অনুবাদ করা হয়, তা সম্ভবত পঞ্চম (এমনকি হয় তো চতুর্থ) শতাব্দীতে রচিত হয়েছিল।
Get it on Apple Books


সাধু বেনেডিক্টের নিয়ম
ভূমিকা ও টীকা সহ লাতিন থেকে বাংলায় অনূদিত সাধু বেনেডিক্টের নিয়ম।

সাধু বেনেডিক্টের নিয়ম হল ৬ষ্ঠ শতাব্দীর (৫১৬ খ্রিষ্টাব্দের) সেই বিখ্যাত লেখা যা খ্রিষ্টিয়ান পাশ্চাত্য জগতের আধ্যাত্মিকতা শুধু নয়, তার সংস্কৃতিকেও প্রভাবান্বিত করেছে।
Get it on Apple Books


মহাপ্রাণ সাধু গ্রেগরি - সাধু বেনেডিক্টের জীবনী
ভূমিকা ও টীকা সহ লাতিন থেকে বাংলায় অনূদিত মহাপ্রাণ গ্রেগরি-লিখিত ‘সাধু বেনেডিক্টের জীবনী’।

সাধু বেনেডিক্ট (৪৮০-৫৪৭) লাতিন মণ্ডলীর আদি সন্ন্যাসীদের মধ্যে সর্বপ্রধান ব্যক্তিত্ব বলে আখ্যায়িত।
পোপ মহাপ্রাণ গ্রেগরি ৫৯৩ ও ৫৯৪ সালের মধ্যে তাঁর যে জীবনী লেখেন, তা সেসময় থেকেই খ্রিষ্টীয় আধ্যাত্মিকতার শ্রেষ্ঠ লেখাগুলোর মধ্যে অন্যতম বলে স্বীকৃত।
Get it on Apple Books